নামকরন:
রংপুর জেলার অন্তর্গত, পীরগঞ্জ উপজেলাধীন ১৪ নং চতরা ইউনিয়নে অবস্থিত এই নীল দরিয়া। এখানে কুরাইশ বংশীয় পীর হযরত শাহ ইসমাঈল গাজী (র:) ও সেন বংশীয় রাজা নীলাম্বর সেনের প্রাচীন স্মৃতি বিজরিত বহু ধ্বংসাবশেস রয়েছে। রাজা নীলাম্বরের নামনুসারে স্থানটিকে বলা হয় নীল দরিয়া।
অবস্থান:
নীল দরিয়া চতরা ইউনিয়নের জলামহল মৌজা অবস্থিত । এর উত্তরে সোনাতলা ও অনন্তপুর মৌজা। দক্ষিণে নিশ্চিন্তা বাটী ও কাটাদুয়ার । পূর্বে গৌড়েশ্বরপুর ও চতরা হাট । পশ্চিমে সন্ধলপুর বাটিকামারী গ্রাম।
আয়তন:
নীল দরিয়া নামক স্থান ৯২ একর জলাশয় বেষ্টন করে আছে বিশাল এক স্থল ভাগকে। মাঝখানের এই স্থল ভাগ দুটি ভাগে বিভক্ত। খন্ড দুটিকে বলা হয় যথাক্রমে ১ম কোর্ট ও ২য় কোর্ট । ১ম কোর্টে ভুমির পরিমান ২৬ একর। ২য় কোর্টে জমির পরিমান ২২ একর। নীল দরিয়ার জল সংলগ্ন এই ভূখন্ড দুটির চার পার্শ্বে নীলাম্বর রাজার প্রাচীর আছে। ১ম কোর্টে বর্তমানে লোকালয় গড়ে ওঠেছে। ২য় কোর্ট বন বিবাগ কতৃক নিয়ন্ত্রিত আছে। জলাশয়টিকে সরকারি ভাবে ইজারার মাধ্যমে মাছ চাস অব্যাহত আছে।
রংপুর জেলার,পীরগঞ্জ থানার অন্তর্গত, সুপ্রসিদ্ধ চতরা হাটের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত নীল দরিয়া। আয়তনে ৯২ একর এক গভীর জলাধার বৃত্তাকারে বেষ্ঠন করে আছে এক স্থল ভাগকে। যার উত্তরে সোনাতলা ও অনন্তপুর মৌজা। দক্ষিনে নিশ্চিন্তাবাটা ও কাটাদুয়ার। পূর্বে গৌড়েশ্বরপুর ও চতরা হাট। পশ্চিমে সুন্দলপুর গ্রাম। এ সকল গ্রাম বেষ্ঠিত নীলাম্বর ও শাহ ইসমাঈল গাজীর বহূ পুরাকীর্তির ধংশাবশেষ বিদ্যমান রয়েছে।মূলত:ইহা রাজা নীলাম্বরের একটি সুরক্ষিত ও দুভের্দ্য পরিখা।
নীল দরিয়ার ভিতরে ও বাহিরে কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তন্মেধ্যেপ্রাকৃতিক বির্বতনে প্রায় গুলোরই ধ্বংসাশেস পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হয় না। জনশ্রুতি আছে, অবলুপ্ত চাড়ালের কবর, পুলদুয়ার, প্রথম কোটে-বাজার বর্হিবাটা,আমডারা, দ্বিতীয় কোটে রাজ-বাড়ী, জীয়ন কুন্ড, মরণ কুন্ড, রানীর ঘাট, রাজার ঘাট, নীল জলাশয়, পান ধোয়া ঘাট, জল যোগের ঘাট, পাখীর ঘাট, দরিয়ার প্রশস্থ পাড়, বরুজের গড়, চন্ডির-মন্ডপ, নিশান ঘাট, কামতা বা কালি মন্দির, শাহ ইসমাঈল গাজী(রহ:) পবিত্র মাজার বা শহীদ সমাধি ক্ষেত্র প্রধান। বন্য পাখি , নারিকলে বিথী ও করোতেয়া নদী বিধেৌত উম্মুক্ত প্রান্তরে সবুজের সমারোহ উপভোগ্য স্নিগ্ধ সমীরন, মনোঙ্গ।
রাজা নীলাম্বেশরএর ধ্বংশাবেশেষ মুল জায়গাটি পানির নীচে চলে যায়। প্রায় ৯২একর জমির উপর বর্তমানে লেকের মত এবং আইল্যান্ডের মত দেখতে এবং চারিদিকে ধ্বংশাবেশেষ কিছু অংশ বিশেষ এখনো দেখা যায়। বর্তমান স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন বন কর্মকর্তার সহ উর্দ্ধতন কর্মকতার সাথে পরিদর্শন করেন এং স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলার লক্ষে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এখানে মনোরম পরিবেশে নদীর মত পরিশরে নৈকা ভ্রমন , পিকনিক করা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন বহু লোকের সমাগম হয়।
আপেটেডে এর কাজ চলছে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস